ICDS Anganwadi Questions and Answers
ICDS Anganwadi Questions and Answers – Before starting the ICDS Anganwadi Previous Papers practice, every candidate must know about the syllabus and Exam Pattern. Because the provided ICDS Anganwadi Previous Papers are only for reference. After completing your subject wise preparation, start to practice ICDS Anganwadi Model Papers. The ICDS Anganwadi Previous Year Question Papers are very helpful to score more marks in the exam. The individuals can able to solve the Previous Question Papers of ICDS Anganwadi only after complete preparation of the syllabus. Hence, finish the syllabus preparation first and then start solving ICDS Anganwadi Model Question Papers.
Questions and Answers in Bengali for ICDS Exam
(1) I.C.D.S. কথাটির অর্থ কী?
I.C.D.S কথাটির ইংরেজি সম্পূর্ণ অর্থ হল Integrated Child Development Scheme, বাংলায় এর অর্থ হল সুসংহত শিশুবিকাশ সেবা প্রকল্প।
(২) অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী বলতে কাদেরা বোঝায়?
অঙ্গনা শব্দের অর্থ নারী, মহিলা বা স্ত্রী লোক। এই অঙ্গনা শব্দ থেকেই অঙ্গনওয়াড়ী কথাটি এসেছে। যে সকল নারী বা মহিলাকর্মীরা শিশু ও মহিলাদের স্বাস্থ্য পরিসেবা দানের উদ্দেশ্য নিযুক্ত হন তাদের অঙ্গনওয়াড়ী কর্মী বলা হয়।
(৩) অঙ্গনওয়াড়ী কর্মীরা কাদের মাধ্যমে নিযুক্ত হন?
সাধারণত প্রতিটি ব্লকের থেকে নির্দিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েতে অঙ্গনওয়াড়ী কর্মী নিয়োগের জন্য আবেদনপত্র গ্রহণের নোটিস দেওয়া হয়। সেই আবেদন পত্র গ্রহণের নির্দিষ্ট দিন পরে গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে লিখিত বা মৌখিক বা উভয়ই গ্রহণের মাধ্যমে অঙ্গনওয়াড়ী কর্মীদের নিয়োগ করা হয়। সাধারণত স্থানীয় মহিলাদেরই অঙ্গনওয়াড়ী কর্মী হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।
(৪) গ্রাম পঞ্চায়েতকে অঙ্গনওয়াড়ী কর্মী নিয়োগের দায়িত্ব কেন দেওয়া হয়েছে?
গ্রামের সার্বিক কল্যাণ ও উন্নয়নের দায়িত্ব গ্রাম পঞ্চায়েতের ওপর ন্যাস্ত। তাই গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য হল গ্রামের মানুষের স্বস্থ্য পরিসেবা দেওয়া এবং সেই সঙ্গে স্বাস্থ্য সম্পর্কে গ্রামের মানুষকে সচেতন করে তোলা। এই উদ্দেশ্য সাধনের জন্যই গ্রাম পঞ্চায়েতকে অঙ্গনওয়াড়ী কর্মী নিয়োগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
(৫) অঙ্গনওয়াড়ী কর্মীদের কী কী দায়িত্ব পালন করতে হয়?
অঙ্গনওয়াড়ী কর্মীদের অনেকগুলি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে হয়। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল—
(১) গর্ভবতী মহিলা, প্রসূতি মা ও শিশুদের পুষ্টির ব্যাবস্থা করা।
(২) মা ও শিশুদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা ও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সম্পর্কে শিক্ষা দেওয়া।
(৩) প্রামীণ মহিলাদের স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও পরিবার কল্যাণ সম্পর্কে শিক্ষা দেওয়া।
(৪) প্রতিবন্ধী শিশু চিহ্নিত করা এবং প্রতিবন্ধকতা নির্ণয় করা।
(৫) গ্রামীণ শিশুদের অপ্রথাগত প্ৰাক্ বিদ্যালয়ে শিক্ষার ব্যবস্থা করা।
(৬) বিভিন্ন রকম রোগের প্রতিষেধক টিকা দেওয়া।
(৭) স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে শিশুদের বা মায়েদের টিকা বা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করা হলে তাতে অঙ্গনওয়াড়ী কর্মীদের যথাযথ সাহায্য করা।
(৬) সুসংহত শিশুবিকাশ (I.C.D.S) প্রকল্প করে প্রবর্তন করা হয় এবং কোন্ বিভাগের পরিচালনায়?
১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দে ভারত সরকারের সমাজ কল্যাণ বিভাগ (Social Welfare Department) এই প্রকল্পটি প্রবর্তন করে।
(৭) সুসংহত শিশুবিকাশ প্রকল্পের (I.C.D.S) প্রধান উদ্দেশ্যগুলি কী?
সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্পের (L.C.D.S) প্রধান উদ্দেশ্যগুলি হল—শিশুদের সর্বাঙ্গীন বিকাশ সাধন ও মাতৃস্বাস্থ্যের বিকাশ সাধন। আর্থিক অনগ্রসর, স্বল্প বা অশিক্ষিত সমাজ অংশের ৬ বছরের নিম্ন শিশুদের গর্ভবতী মায়েদের ও দুগ্ধদানশীল মায়েদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টির উন্নতির স্বার্থে এই প্রকল্পটি চালু হয়।
(৮) সুসংহত শিশু-বিকাশ প্রকল্প (I.C.D.S) কোন্ কোন্ কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত?
এই প্রকল্পের উল্লেখযোগ্য কর্মকাণ্ডগুলি হল
(১) ৬ বছরের নিম্ন বয়সের শিশুদের ক্ষেত্রে পরিপুরক খাদ্যপ্রদানের ব্যবস্থা করা।
(২) ৩-৬ বছরের শিশুদের ক্ষেত্রে প্রথাবহির্ভূত শিক্ষার ব্যবস্থা করা।
(৩) টিকাকরণের মাধ্যমে শিশুদের প্রতিরোধ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটানো।
(৪) মহিলাদের সাক্ষরতার ব্যবস্থা করা।
(৫) হাসপাতালের সঙ্গে যৌথভাবে শিশুদের শরীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করা।
(৬) জনসাধারণকে পুষ্টি বিষয়ে সচেতন করা।
(৯) সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্পটি রূপায়ণের জন্য কোন আন্তর্জাতিক সংস্থা বিশেষভাবে সাহায্য করে?
আন্তর্জাতিক সংস্থা UNICEF (United Nation’s International Children’s Emergency Fund) কর্মী সহায়িকা সহায্য করে?
(১০) ভারত সরকারের কোন্ কোন্ বিভাগ (দপ্তর) I.C.D.S. প্রকল্পটি বাস্তবায়িত করার জন্য বিশেষভাবে জন্য বিশেষ সাহায্য করে।
ভারত সরকারের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য বিভাগ, সমষ্টি উন্নয়ন দপ্তর ও খাদ্যদপ্তর I.C.D.S. প্রকল্পটিকে বাস্তবায়িত করার
(১১) মাধ্যহ্নকালীন আহার প্রকল্প (Mid-day Meal Programme-MMP) টির মূল উদ্দেশ্য কী?
ভারত সরকারের মানব সম্পদ উন্নয়ন বিভাগ ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দে এই পুষ্টি প্রকল্প শুরু করে। এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্যগুলি হল-
(১) বিদ্যালয়গামী শিশুসহ প্রাকৃবিদ্যালয় শিশুদের অপুষ্টি দূর করা।
(২) বিদ্যালয় শিশুদের নিয়মিত উপস্থিতির হার বৃদ্ধি করানো।
(৩) শিশুদের বিদ্যালয় ছাড়ার প্রবণতা হ্রাস করা।
(৪) শিশুদের দৈনিক শক্তি চাহিদা এবং দৈনিক প্রোটিন চাহিদার অংশ সরবরাহ করার ব্যবস্থা করা।
(১২) বিশেষ পুষ্টি প্রকল্প (Special Nutrition Programme : SNP) কোন দপ্তরের অধীনে চালু হয়?
বিশেষ পুষ্টি প্রকল্প (SNP) Cengtral Welfare Department বা কেন্দ্রীয় সমাজকল্যাণ দপ্তরের অধীনে ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে চালু হয়।
(১৩) বিশেষ পুষ্টি প্রকল্পে (SNP) কোন্ কোন্ খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ করা হয়?
বিশেষ পুষ্টি প্রকল্পে (SNP) যে সকল খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ করা হয়, সেগুলি হল-
(১) দুধ ও দুধের গুড়া।
(২) দানা শস্য ও ডাল আঞ্চলিকভাবে পাওয়া যায়।
(৩) পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ পাউরুটি।
(৪) ভিটামিন ‘এ’ ও ‘সি’ সমৃদ্ধ ট্যাবলেট।
(৫) লোহা ও ফোলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ ট্যাবলেট।
(৬) এই প্রকল্পের খাদ্য সামগ্রীগুলি World Food Programme (WEP) এবং CARE সরবরাহ করে।
(১৪) মিশ্র পুষ্টি প্রকল্প (Composite Nutrition) কী?
এটি প্রয়োগমূলক একটি বিকল্প রুপ এবং এটি ভারাত সরকারের Community Development Department ধারা রূপায়িত হয়। যে সমস্ত অঞ্চলে প্রয়োগমূলক পুষ্টিপ্রকল্প শুরু করা সম্ভবপর ছিল না সেই সমস্ত স্থানে মিশ্রপুষ্টি প্রকল্প শুরু করা হয়।
(১৫) মিশ্র পুষ্টি প্রকল্পের উদ্দেশ্যগুলি কী কী?
মিশ্র পুষ্টি প্রকল্পের উদ্দেশ্যগুলি হল-
(১) অপুষ্টির প্রকোপ থেকে জনসাধারণকে রক্ষা করা।
(২) জনসাধারণের পুষ্টির মানের উন্নয়ন।
(৩) জনগণের স্বাস্থ্যের উন্নতিসাধন।
(১৬) অপুষ্টিজনিত রক্তাল্পতা প্রতিরোধক জাতীয় স্তরের কর্মসূচি (NAAP) প্রকল্প কী?
জাতীয় স্তরের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ এই প্রকল্পটি প্রবর্তন করেন। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত করার জন্য গ্রামাঞ্চলের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং শহরাঞ্চলের মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
(১৭) অপুষ্টিজনিত রক্তাল্পতা প্রতিরোধক জাতীয় স্তরের কর্মসূচি (NNAPP) প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য কী?
অপুষ্টিজনিত রক্তায়তা প্রতিরোধক জাতীয় স্তরের কর্মসূচি প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য হল—(১-১২) বছর বয়স শিশুদের, গর্ভবর্তী মায়েদের পুষ্টিকর ঘাটতিজনিত রক্তাল্পতা দূর করা।
(১৮) অপুষ্টিজনিত রক্তাল্পতার প্রধান কারণ কী?
অপুষ্টিজনিত রক্তাক্তৃতার প্রধান কারণ হল দেহে লোহার ঘাটতি। এছাড়াও ফৌলিক অ্যাসিড, ভিটামিন ‘বি’-১২ ভিটামিন ‘সি’ ও প্রোটিনের ঘাটতিতে এই রক্তাল্পতা দেখা যায়।
(১৯) অপুষ্টিজনিত রক্তাল্পতা দূর করার জন্য প্রয়োজনীয় করণীয় বিষয়গুলি কী কী ?
এই রক্তাল্পতা দূর করার জন্য করণীয় বিষয়গুলি হল-
(১) সবুজ সবজি বেশি মাত্রায় গ্রহণ করা।
(২) ফেরাস সালফেট ট্যাবলেট গ্রহণ করা।
(৩) খাদ্যে ফাইটিক অ্যাসিড ও ফসফেটের মাত্রা হ্রাস করা।
(৪) খাদ্যে অ্যাসকরবিক অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধি করা।
(২০) এন. এন. এ. পি.-র প্রধান কাজগুলি কী কী?
NNAPP -র প্রধান কাজগুলি হল-
(১) রক্তাল্পতায় যে সমস্ত শিশু ও গর্ভবর্তী মায়েরা আক্রান্ত তাদের শনাক্ত করা।
(২) জনসাধারণকে রক্তাল্পতা কু-প্রভাব ও তারা খাদ্য সামগ্রীরং দ্বারা কীভাবে দূর করা যায় সে সম্পর্কে অবহিত করা।
(৩) জননী ও শিশুদের আয়রন ফোলিক অ্যাসিড (IFA) ট্যাবলেট গ্রহণে অনুপ্রাণিত করা।
(৪) জনসাধারণকে লোহা সমৃদ্ধ লবণ সরবরাহের মাধ্যমে অপুষ্টিজনিত রক্তাল্পতা দূর করার ব্যবস্থা করা।
(২১) ভারত সরকারের শিশু বিকাশ প্রকল্প শিশু অপুষ্টি নিবারণে কী ভূমিকা পালন করে?
ভারাত সরকারের শিশু বিকাশ প্রকল্প শিশু অপুষ্টি নিবারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এদের কর্তব্যগুলি হল-
(১) শিশু বিকাশ চার্টের মাধ্যমে শিশুর বিভিন্ন স্তরের অপুষ্টিগুলির লক্ষণাবলি মায়েদের সামনে তুলে ধরা এবং তাদের সচেতন করা।
(২) পরিবারের খাদ্যে অভ্যস্ত না হওয়া পর্যন্ত শিশুকে যথাযথ মাত্রায় পরিপূরক খাদ্য দিতে হবে।
(৩) উচ্চ প্রোটিন ও ফ্যাট সম্পন্ন খাদ্যবস্তু শিশুকে দিতে হবে, যেমন—ডাল, ডালিয়া, চিনাবাদাম, ছাতু ইত্যাদি।
(৪) দু-বছর বয়স পর্যন্ত শিশুকে মাতৃদুগ্ধ পানে উৎসাহিত করতে হবে।
(৫) অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে অনুপুরক খাদ্য শিশুদের সরবরাহ করতে হবে।
(৬) শিশুর প্রতিষেধক টিকা যাতে সঠিকভাবে দেওয়া হয় সে বিষয়ে লক্ষ রাখতে হবে।
(৭) আয়রণ, ফোলিক অ্যাসিড, আয়োডিন যথাযথ মাত্রায় শিশুদের সরবরাহ করতে হবে।
(২২) প্রোটিন শক্তি অপুষ্টি (PCM) কাকে বলে?
শিশুদের খাদ্যে প্রোটিনের অভাব, শক্তির অভাব অথবা প্রোটিন ও শক্তি উভয়েরই অভাবের ফলে অপুষ্টিজনিত অবস্থাকে প্রোটিন ক্যালোরি অপুষ্টি (PCM) বলে। বর্তমানে WHO এবং FAO প্রোটিন ক্যালোরি অপুষ্টির পরিবর্তে প্রোটিন শক্তি অপুষ্টি (PEM) নামকরণ করে।
(২৩) সাধারণত কত বছর বয়সের শিশুরা PEM-এর শিকার হয়?
সাধারণত ১ থেকে ৩ বছরের শিশুরা PEM-এর শিকার হয়।
(২৪) প্রোটিন-শক্তি অপুষ্টির (PEM)-এর কারণ কী?
প্রোটিন-শক্তি অপুষ্টির প্রধান কারণ হল যথাযথ মাত্রায় শক্তির অভাব। মোট খাদ্য থেকে শক্তির পরিমাণ প্রয়োজন মাফিক না হলে প্রোটিন দেহ গঠনের পরিবর্তে শক্তি উৎপাদনে নিয়োজিত হয়। এর ফলে প্রোটিনের ঘাটতিও দেখা যায়। অতএব শক্তির ঘাটতিই প্রকৃতপক্ষে PEM-এর প্রধান কারণ। এর সঙ্গে অন্যান্য কারণগুলি হল- জনসংখ্যা বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক খারাপ অবস্থা। শিশুদের লালন পালনের অভাব, পুষ্টি শিকার অভাব, অস্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যবস্তু গ্রহণ, স্বাস্থ্য পরিসেবার অভাব, পরিবার পরিকল্পনার অভাব ইত্যাদি।
(২৫) প্রোটিন-শক্তির অপুষ্টি প্রতিকারে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের ভূমিকা কী?
অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা গ্রামের মায়েদের PEM-এর কুফলগুলি তুলে ধরবেন। মাতৃদুগ্ধ দেওয়ার জন্য উৎসাহিত করবেন এবং সিহজে প্রাপ্য খাদ্যবস্তু থেকে নির্বাচন করে শিশুর পুষ্টিমান বজায় রাখবেন। উদাহরণস্বরূপ ডাল, চিনাবাদাম গুড়ো করে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে গুড় বা চিনি সহযোগে শিশুকে বারবার খাওয়ানো। এছাড়াও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে সরবরাহিত খাদ্য অনুপুরক এটা পরিবর্ত খাদ্য নয় সে বিষয়ে পরিবারের লোকজনদের জানালো, শিশুদের কৃমিমুক্ত করার ব্যবস্থা নেওয়া। আয়রণ ও ফোলিক অ্যাসিডযুক্ত ট্যাবলেট প্রদান করা, প্রতিষেধক টিকা দেওয়ার ববস্থা করতে হবে।
(২৬) অপুষ্টি প্রতিরোধকল্পে FAO/WHO-র নির্দেশিকাগুলি কী?
অপুষ্টি প্রতিরোধকল্পে FAO/WHO-র নির্দেশিকা হল-
(১) শিশুর পুষ্টির জন্য মাকে যথাযথ শিক্ষা দেওয়া।
(২) শিশুর জন্য অল্পমূল্যের পুষ্টিকর খাবারের ব্যবস্থা করা।
(৩) দুটি সন্তানের জন্মের মধ্যে কমপক্ষে ৩ বছরের ব্যবধান রাখতে হবে।
(৪) শিশুকে ঠিক সময়ে টিকাদানের ব্যবস্থা নিতে হবে।
(৫) নির্দিষ্ট সময় অন্তর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে।
(৬) সময়মতো সংক্রামক রোগের চিকিৎসা করাতে হবে।
(৭) শিশুর কৃমিরোগের চিকিৎসা করাতে হবে।
(২৭) জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ কবে পালন করা হয়?
১-৭ সেপ্টেম্বর জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ পালন করা হয়।
(২৮) বিশ্ব পুষ্টি দিবস কবে পালন করা হয়?
১৬ অক্টোবর বিশ্ব পুষ্টি দিবস পালন করা হয়।
(২৯) বিশ্ব শিশুদিবস কবে পালিত হয়?
১৬ অক্টোবর বিশ্ব পুষ্টি দিবস পালন করা হয়।
(৩০) উন্নয়নশীল দেশের শিশু ও মায়েদের জীবনের মান উন্নয়নের ক্ষেত্রে কোন্ সংস্থা অর্থ দান করেন?
ইউনাইটেড নেশনস্ ইন্টারন্যাশানাল চিলড্রেন সমারজেন্সি ফান্ড (UNICEF)।
(৩১) বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ দিবস কবে পালিত হয়?
১ আগস্ট বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ দিবস পালিত হয়।
(৩২) শিশুর স্বাস্থ্যহানির লক্ষণগুলি কী কী?
শিশুর স্বাস্থ্যহানির লক্ষণগুলি হল:
(১) পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাব
(২) ওজন না বাড়া বা খুব কম পরিমাণে বাড়া,
(৩) পেটের অসুখ অর্থাৎ খাদ্য ঠিকমতো হজম না হওয়া।
(৪) ঘন ঘন সংক্রামক রোগের আক্রমন।
(৩৩) শিশুকে মাতৃদুগ্ধ খাওয়ানোর পদ্ধতি কী?
শিশু জন্মাবার পরে অর্থাৎ ৩০ মিনিট পর থেকেই মা শিশুকে বুকের দুধ পান করাতে পারেন যদিও সাধারণতঃ ৩ ঘন্টা পরে তা শুরু করা হয়। প্রথম ২ মাস বয়স পর্যন্ত ৩ ঘন্টা অন্তর এবং মোট ৭ বার দুধ পান করানো উচিত। বয়স ২ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত ৫ বার দুধ পান করানো উচিত। শিশুকে অতি অবশ্যই জন্মের পর ৪-৬ মাস মায়ের দুগ্ধ পান করানো উচিত এবং তা সর্বাধিক ২ বছর বয়স পর্যন্ত বজায় রাখা যেতে পারে।
(৩৪) মা শিশুকে বুকের দুধ না দিতে পারলে বা ছড়িয়ে দিলে কী কী খাওয়াতে হবে?
মা শিশুকে বুকের দুধ না দিতে পারলে বিভিন্ন প্রকার কৃত্রিম দুধ, ছানার জন্ম, সবজীর সুপ ও জল খাওয়ানো যেতে পারে।
(৩৫) একটি সুস্থ নবজাতক শিশুর ওজন কত হয়?
একটি সুস্থ নবজাতক শিশুর ওজন হয় ২৬০০ থেকে ৩৪০০ গ্রাম।
(৩৬) শিশুকে মাতৃদুগ্ধ ছাড়িয়ে দিলে বিকল্প কী কী খাদ্যে অভ্যস্ত করা প্রয়োজন।
(১) শিশুর ২-৩ মাস বয়সে কমলালেবু বা মৌসুমির রস দেওয়া প্রয়োজন।
(২) ৩-৪ মাস বয়সে শিশুকে প্রথমে পাতলা করে দুধ ও সুজির মন্ড চিত হয়, তারপর অভ্যস্ত হলে ওই মণ্ড ঘন করে দিতে হয়।
(৩) ৫-৬ মাস বয়সে শিশুকে দুধের সঙ্গে ভাতের মণ্ড, সুসিদ্ধ সবজি যেমন গাজর, আলু, কলাইশুটি, পেঁপে ইত্যাদি চটকানো, নরম ফল ইত্যাদি দেওয়া উচিত।
(৪) ৭-৮ মাস বয়সে শিশুকে মাছ-মাংসের সুপ, টোস্ট, তরকারি, চটকানো মাছ-মাংস দেওয়া উচিত।
(৫) এক বছর বয়সে শিশুকে মাতৃদুগ্ধের সঙ্গে দুকাপ মতো গোরুর দুধ দেওয়া যায়।
(৬) শিশুকে ১ বছর বয়স থেকেই সেদ্ধ ডিম দেওয়া প্রয়োজন, কারণ শিশুর বৃদ্ধির জন্য দুধের পরেই ডিমের স্থান।
(৩৭) ভারতে শিশু মৃত্যুর হার বেশি হওয়ার কারণ কী?
ভারতে শিশু মৃত্যুর হার বেশি হওয়ার কারণগুলির মধ্যে অন্যতম হল অপুষ্টি। এছাড়াও প্রসূতি মায়ের যত্ন না নেওয়া, শিশুকে বুকের দুধ না দেওয়া, শিশুর স্বাস্থ্য ও সুস্থতা রক্ষার জন্য প্রতিযেধক টিকা না দেওয়াও অন্যতম কারণ।
(৩৮) শিশুদের সবাঙ্গীন বিকাশ নির্ভর করে কিসের উপর?
একান্তই শিশুর সহিত সুষ্ঠু সমন্বয়ের মাধ্যমেই শিশু সর্বাঙ্গীন বিকাশ হয়ে থাকে।
(৩৯) শিশুদের শিক্ষাদানের বৈজ্ঞানিক পথ কী?
শিশুর শিক্ষাদানের বৈজ্ঞানিক পথ হল খেলার মাধ্যমে শিশুকে শিক্ষা দান।
(৪০) সার্বিকভাবে শিক্ষার ক্ষেত্রে মূল উপাদানগুলি কী কী?
সার্বিকভাবে শিক্ষার ক্ষেত্রে মূল উপাদানগুলির মধ্যে বিদ্যালয়, শিক্ষার্থী, নির্দিষ্ট পাঠক্রম, শিক্ষাগুরু ও খেলার মাঠ হওয়া একান্ত প্রয়োজন।
(৪১) পিও কোথায় সৃষ্টি হয়?
পিও সৃষ্টি হয় যকৃতে।
(৪২) ‘অ্যানাটোমি’ শব্দের অর্থ কি?
জীবকে ছেদ করে তার ভেতরের গঠন সম্পর্কে জ্ঞানলাভ করা।
(৪৩) মানুষের করোটির স্নায়ুর সংখ্যা কত?
৩১টি।
(৪৪) শিশু জন্মের কত দিনের মধ্যে বি. সি. জি. (B.C.G.) দেওয়া উচিত?
শিশুর জন্মের ০-৩ দিনের মধ্যে বি.সি.জি. দেওয়া উচিত। এটি একটি টীকাকরণ।
(৪৫) কোষের সমষ্টি হল—
কলা।
(৪৬) মানবদেহের ‘ভোকাল কর্ড’ কী সাহায্য করে?
কথা বলতে সাহায্য করে।
(৪৭) মানব শরীরের ক্ষুদ্রতম পেশি কোনটি?
স্টেপেডিয়াস। ক্ষুদ্রতম অস্থি-মধ্য কর্ণের স্টেপিস।
(৪৮) পরিণত মানুষের শরীরে কটি অস্থি থাকে?
২০৬টি।
(৪৯) মানবদেহের মস্তিষ্কের গড় ওজন কত?
মস্তিষ্কের গড় ওজন ৩.২ কেজি।